বিনোদন ডেস্ক: ফের বিয়ে করেছেন ঢাকাই ছবির সফল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাত্র কামরুজ্জামান সরকার রাকিব। তিনি গাজীপুরের ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। রোববার দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ছিলো রাকিব সরকারের জন্মদিন। দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতেই সেদিন মধ্যরাতে বিয়ের এই আয়োজন। রাকিবের জন্মদিনে বিয়ে করে নিজেকে স্ত্রী হিসেবে উপহার দিয়েছেন মাহি। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নবদম্পতি। রাকিবের জন্মদিন উদযাপনের সেই মুহূর্তের কিছু ছবি শেয়ারও করেছেন মাহি। এদিকে বিয়ের পরদিন ভোরেই স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহী গেছেন মাহি। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সময় দিতেই সেখানে গেছেন নায়িকা। রাকিবের সঙ্গে মাহির দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম পরিচয় আমার স্কুলের এক বান্ধবীর হাসবেন্ডের মাধ্যমে, একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে। তা আট–নয় বছর হবে। পরিচয়ের পর থেকেই আমরা বন্ধু। কিন্তু সেভাবে কথা হতো না। বন্ধুদের বিয়ে, হঠাৎ বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে দেখা হতো, কথা হতো। এভাবেই চলছিল। রিসেন্ট একটি গেট টুগেদারে আমাদের আবার দেখা হয়। তখন থেকেই কিছুটা নিয়মিত কথা বলা হতো।’ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব থাকলেও কখনো প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না বলে জানিয়েছেন তিনি। মাহির ভাষ্য, ‘ওর (রাকিব) সঙ্গে তো আমার প্রেম ছিল না। বন্ধু হিসেবে একটু ঘুরতাম। এই নিয়ে এত নিউজ হয়েছে, চারদিকে এত গুজব ছড়াচ্ছিল, সেই নিউজ দেখেই কথা বলতে বলতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, চলো, বিয়ে করি। আমিও একা ছিলাম, সে–ও একা ছিল। আমাদের মধ্যে অনেক মতের মিল ছিল।’রাকিব ও মাহি দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের বিয়ের আয়োজনে শুধু দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরাই উপস্থিত ছিলেন। তবে এই বিয়েতে শুরুতে মত দেননি পরিবার। মাহি জানান, ‘পরিবারের সম্মতি ছিল না। পরে পরিবারকে রাজি করিয়েছি। আমাদের দুজনের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় বিয়েতে অ্যাপ্রিসিয়েশন তেমন একটা থাকে না, এটাই স্বাভাবিক।’ মাহির দ্বিতীয় বিয়ের খবরে অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন আবার কেউ কেউ তাকে বাঁকা চোখে দেখছেন। তবে কারো কটু দৃষ্টিতে কিছু যায় আসে না নায়িকার। তার মতে- তারা ভালো আছেন, ভালো থাকতে চান।স্বামীকে নিয়ে রাজশাহী গেলেও আপাতত হানিমুনে যেতে পারছেন না নবদম্পতি। কারণ আগামী ১৭ তারিখ থেকে ‘নরসুন্দর’ সিনেমার শুটিং করবেন নায়িকা। বিয়ে তো হলো, এখন তিনি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে চান।