সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ধানগাছের উদ্ভাবন!

সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ধানগাছের উদ্ভাবন!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ধানগাছের উদ্ভাবন নিয়ে সফলতা মিলেছে চীনে। সম্প্রতি চীনের দক্ষিণাঞ্চলের চংকিং পৌর এলাকায় পরীক্ষামূলক চাষে এ সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির হাইব্রিড রাইস ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার। সংস্থাটি বলছে, প্রতি হেক্টর জমিতে নতুন এ জায়ান্ট জাতের ধানের ফলন হয় ১২ হাজার কেজি বা ১২ মেট্রিক টন।যেখানে দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক্স এর তথ্যমতে ২০২০ সালে, চীনের গড় ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৭ হাজার ৫০ কেজি বা ৭ মেট্রিক টনের মত। এ হিসাবে জায়ান্ট জাতের ধানে ৭০ শতাংশের বেশি ফলন পাওয়া গেছে। বাড়তি ফলনের পাশাপাশি নতুন জাতের এ ধান গাছের উচ্চতার ক্ষেত্রেও আলাদা।চীনের হাইব্রিড রাইস ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর চেন ইয়াংপু বলেন, জায়ান্ট জাতের ধানগাছ উচ্চতায় দুই মিটার বা সাড়ে ৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, প্রচলিত ধান গাছের সাথে জায়ান্ট ধানের উচ্চতার এ পার্থক্য পাশাপাশি রাখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। জায়ান্ট ধান গাছের উচ্চতা সাধারণ ধানের জাতের চেয়ে দ্বিগুণ। তিনি আরও জানান, এ বছর আমরা দাজু জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে জায়ান্ট জাতের ধান চাষ করেছি প্রথমবারের মতো। এখন পর্যন্ত ট্রায়ালে যথেষ্ট ভালো সফলতা পাওয়া গেছে এবং আনুমানিক হেক্টর প্রতি ফলন ১২ মেট্রিক টনের বেশি।চেন এর পর্যবেক্ষণ মতে, জায়ান্ট জাতের গাছে এক ছড়ায় ৫০০টি পর্যন্ত ধান পাওয়া যায়, সেইসাথে এই জাতের ধানগাছ শুধু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় অনন্য না, লবণাক্ততা এবং বন্যা মোকাবিলাতেও এর সহনশীলতা বেশি। এছাড়া এটি গাছে পর্যাপ্ত পুষ্টি যোগাতে পারে এবং জলজ প্রাণী এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য সেরা আবাসস্থল হিসেবে ছায়া দিতে পারে। চেন আরও বলেন, সামনের বছর এ জায়ান্ট জাতের ধানের চাষ দাজু জেলাসহ চংকিং এর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে চাষের পরিকল্পনা আছে। এ জাতের ধানের জমিতে আমরা পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে পারি এবং মাছ, চিংড়ি- কাকড়ার সমন্বিত চাষও করতে পারবো। তিনি যোগ করেন, এ ধরনের আবাদ কৃষকদের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করবে নতুন সম্ভাবনায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *