ঢাকা: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভূতের তাণ্ডব থেকে মুক্তি পেতে কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের পর ভূতকে খেতে দেওয়া হয়েছে দুটি ছাগলের জিহ্বা। কবিরাজের পরামর্শ- এমনটা করলেই থেমে যাবে ভূতের তাণ্ডব। তবে ঘটনা হয়েছে উল্টো। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে ঝাড়ফুঁক চালান কবিরাজ সুরুজ বাঙালি। এরপর শনিবার ভূতকে খেতে দেন দুটি ছাগলের জিহ্বা। এরপর তাণ্ডব তো থামেইনি, উল্টো বেড়েছে। বাড়ির টিনের চালে ঢিল ছোঁড়া, মুরগি মেরে ঘরের দরজায় রাখা, চুলা ভেঙে ফেলা, এমনকি দফায় দফায় মূল্যবান কাগজ ও শরীরের পোশাকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছেই। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বালিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে মঙ্গলবার রাত থেকে রান্নাঘর ও বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় আগুন লাগতে থাকে। এছাড়া গভীর রাতে ঘরের টিনের চালে ঢিল ছোঁড়া ও মুরগি মেরে ঘরের দরজায় ফেলে রাখার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল পরির্দশন করলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে পারেনি। এতেই স্থানীয়দের মধ্যে ভূতের তাণ্ডবের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভূত তাড়ানোর আসর বসান স্থানীয় কবিরাজ সুরুজ বাঙালি। কয়েক দফা ঝাড়ফুঁক শেষে তিনি জানান- ভূত তাড়াতে হলে ছাগলের জিহ্বা খাওয়াতে হবে। এরপর শনিবার দুটি ছাগল জবাই করে দুটো জিহ্বা দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও কমেনি ভূতের তাণ্ডব। বর্তমানে আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছেন চাঁন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।