কাঁচা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতার শেষ নেই। হলুদ তরকারির প্রধান মসলার ভিতরে একটি।হিন্দু শাস্ত্রে হলুদকে বলা হয় শুভ আর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের কাছে হলুদ হলো অ্যান্টিসেপটিক। রান্না যেমন আমাদের হলুদ ছাড়া চলে না তেমনি ত্বক উজ্জ্বল করতে অনেকে কাঁচা হলুদ গায়ে মাখেন। খালি পেটে কাঁচা হলুদ মধু দিয়ে চিবিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। হলুদ অনেক রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যেমনঃ জয়েন্টে ব্যথা, পেটের ব্যথা, আলসারেটিভ কোলাইটিস, বাইপাস সার্জারি, রক্তক্ষরণ, ডায়রিয়া, অন্ত্রের গ্যাস, পেট ফুলে যাওয়া, ক্ষুধা হ্রাস, জন্ডিস, লিভারের সমস্যা, হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি (এইচ। পাইলোরি) সংক্রমণ, পেটের আলসার, পিত্তথলি রোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল।হলুদ আরও ব্যবহৃত হয় মাথা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, সর্দি, ফুসফুসের সংক্রমণ, ফাইব্রোমাইলজিয়া, কুষ্ঠরোগ, জ্বর, চোখের মাঝের স্তরে ফোলাভাব,এবং যাদের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে। কিছু লোক দাদ, ক্ষত, জোঁকের কামড়, চোখের সংক্রমণ, ব্রণ, ত্বকের সমস্যা, মুখের ভিতরে ব্যথা, এবং মাড়ির রোগের জন্য হলুদ প্রয়োগ করে।
কাঁচা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা
হলুদ ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হলুদ হাজার হাজার বছর ধরে এশিয়া উপমহাদেশে ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করছেন উপমহাদেশের মানুষজন হাজার হাজার বছর থেকে কেন হলুদ ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যাবহার করে আসছেন,এবং এতে কি কি উপাদান বিদ্যমান । হলুদের যে উপাদানটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে কারকুমিন’,হলুদের মূল সক্রিয় উপাদান কারকুমিন। এর শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে এবং এটি খুব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। কারকুমিন চর্বিযুক্ত দ্রবণীয়ও তাই চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে হলুদ গ্রহণ করা ভাল।
কাঁচা হলুদ সর্দিকাশিতে
হলুদে থাকা কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দিকাশি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বাড়ায় ও সর্দিকাশি থেকে আরাম দেয়। কাঁচা হলুদে থাকা ভিটামিন সি-ও সর্দিকাশি কমাতে সাহায্য করে।
মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে হলুদ
হলুদ ডিপ্রেশন ডিসর্ডার চিকিৎসা সহ মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। 2014 সালের একটি গবেষণায় কারকুমিন’ এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে পৃথকভাবে কিছু ব্যক্তিদের 1000 মিলিগ্রাম কারকুমিন’ এবং 20 মিলিগ্রাম ফ্লুঅক্সেটিন দেয়া হয়েছিল গবেষণা পাওয়া গিয়েছে 1000 মিলিগ্রাম কারকুমিন’ দেয়া ব্যক্তিদের ডিপ্রেশন ডিসর্ডার নিয়ন্ত্রণে কারকুমিন’ বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
কাঁচা হলুদ ক্ষত সারাতে বা এন্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে
কাঁচা হলুদ অ্যান্টি-বায়োটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বিভিন্ন ক্ষত তাড়াতাড়ি সারাতে সহায়তা করে ও ক্ষতের জায়গায় নতুন চামড়া জন্মাতে সাহায্য করে। অপারেশনের পরে ব্যথা কমাতে ও পোড়ার ক্ষত কমাতে কাঁচা হলুদ সাহায্য করে।
রক্তে সুগারের ভারসাম্যতা রক্ষা করতে পারে হলুদ
রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা রক্ষা করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস ভুক্তভোগীদের জন্য এটি দুর্দান্ত ওষুধ হিসেবে কাজ করে হলুদ। এটি রক্তে চিনির মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
হলুদ জয়েন্টের ব্যথা কমাতে
হলুদ জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে । জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে অস্টিওআর্থারাইটিস তাদের ব্যথার জন্য কারকুমিন বা আইবুপ্রোফেন গ্রহণ করে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে ব্যথা হ্রাস এবং উন্নত ফাংশন মোকাবেলার জন্য কারকুমিন ড্রাগের সাথে তুলনীয়।
কাঁচা হলুদ হাড়ের ক্ষয় রোধে
কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে। মেনোপজের সময় মহিলাদের যে হাড়ের ক্ষয় হয়, তা থেকেও কাঁচা হলুদ আমাদের বাঁচায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদ আমাদের শরীরকে শক্তিশালী জীবাণু এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরো ভালো লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। হলুদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রোটিনকে বাড়ানোর জন্য বিশেষ উপকারী।
কাঁচা হলুদ রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে
কাঁচা হলুদ রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে ও রক্তকে পরিষ্কার রাখে। একারণে বহু প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা হলুদ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ডসের সময় কাঁচা হলুদ
পিরিয়ডসের আগে বা পিরিয়ডসের সময় পেটে ব্যথা যদি হয়, তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পলি-সিস্টিক ওভারি থাকলেও কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেয়ে যান, উপকার পাবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে হলুদ
হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধক। একটি ক্লিনিকাল পরীক্ষায়, ক্যান্সার সমস্যায় ভুগছেন এমন ভিন্ন ভিন্ন 25 জন রোগীদের কারকুমিন দিয়ে চিকিৎসাকরা হয়েছিল । গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে এটি প্রাক্টেনসাস সেলগুলি ক্যান্সারে পরিণত হওয়া বন্ধ করতে পারে। 2008 সালের অন্য একটি সমীক্ষায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে কারকুমিন এর পরিমান বাড়িয়ে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যেতে পারে।
কাঁচা হলুদ ত্বকের বয়স কমাতে
কাঁচা হলুদ বহু প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য রক্ষা করতে ও ত্বকের বয়স কমায়। তাই বিভিন্ন ক্রিমের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে হলুদ
হলুদ পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিকজাতীয় উপাদানের আধিক্য শারীরিক অসুস্থতা আনে। তৈরি করে মানসিক অস্থিরতা। হলুদ এ ক্ষেত্রে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
হলুদ মস্তিষ্কের স্নায়ুর প্রভাব কমাতে সহায়তা করে
গবেষকরা এখনো বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় তবে কিছু প্রমাণ থেকে জানা যায় যে হলুদ আলজাইমার রোগের সাথে যুক্ত মস্তিষ্কের স্নায়ুর প্রভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে,একই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে কারকুমি মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলমান।
কাঁচা হলুদ অ্যালার্জি রোধ করতে
কাঁচা হলুদ অ্যান্টি-অ্যালার্জিক হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক ও খাবারের থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে কাঁচা হলুদ সাহায্য করতে পারে।
রূপচর্চায় হলুদ এর ব্যবহার
ত্বক উজ্জল করতে হলুদ
আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং উজ্জলতা চান হলুদ হতে পারে আপনার জন্য উত্তম একটি মাধ্যম। প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে,হলুদে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা,নিস্তেজ চেহারা যুক্ত ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।
দাঁত এর ব্যবহারে হলুদ
হলুদ স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহারে দাঁত সাদা করতে এবং জিনজিভাইটিস ও দাঁত ব্যথা উপশম করতে বিশেষ কার্যকরী “আপনি হলুদকে প্রাকৃতিক, ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন যা ব্যাকটিরিয়া দূরীভূত করবে এবং দাঁত ব্যথা উপশমে আপনাকে বিশেষ সাহায্য করবে। এটি ব্যবহার করার জন্য 3-4 টেবিল চা চামচ হলুদ গুঁড়া 2 টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং ½ টেবিল চামচ নারকেল তেলের মিশ্রণ যুক্ত করে ব্যবহার করতে পারেন,এই উপাদানগুলি ভালভাবে মিশ্রিত করুন, তিন মিনিট পর্যন্ত আপনার দাঁত ব্রাশ করুন, এবং ভালোভাবে পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।
চামড়ার চিকিৎসায় হলুদ
আবারো হলুদের প্রদাহ-প্রতিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল সুবিধার জন্য ধন্যবাদ, ত্বকের জন্য হলুদ উপকারিতা সোরিয়াসিস এবং একজিমার মতো পরিস্থিতিতে আশ্চর্য কাজ করতে পারে।বায়োমেড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল, পিয়ার-রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় সোরাইসিস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যতম কৌশলযুক্ত চিকিৎসা হিসেবে হলুদকে সাহায্যকারী বলে মনে করেছে।
ব্রণ প্রতিরোধে হলুদ
ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা গুরুত্বপূর্ণ। পায়ের দুই আঙুলের ফাঁকে ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে হলুদ মাখলে কিছুটা হলেও উপকার আসবে। তবে যাদের অ্যালার্জিজনতি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ মাখা মোটেও ভালো হবে না। এক চামচ মধু, এক চামচ দুধ, আর এক চিমটি হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। সপ্তাহে তিন-চার বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
শুকনো ত্বককে সুস্থ করতে হলুদ
হলুদ শুষ্কতার লক্ষণগুলি দূর করতে এবং ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট এবং পুনরুজ্জীবিত করতে পারে” এটি ত্বকের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর, এটি ত্বকের মৃত কোষগুলি অপসারণের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে তোলে এবং ত্বকের কোষের আরো ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, আপনি যদি চায়ের সাথে অথবা খাবারে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে থাকেন তবে এটি মসলার দ্বারা প্রদত্ত মশ্চারাইজিং সুবিধা বেশি দিতে সহায়তা করতে পারে।
খুশকির হাত থেকে মুক্তি পেতে হলুদ
আপনি যখন ত্বকের সুস্থতায় হলুদের সুবিধার কথা ভাবেন তখন আপনার ভুলে গেলে চলবে না আপনার মাথার ত্বকের কথা সর্বোপরি এটিও ত্বক, অনেক সময় মাথায় চুলকানি সমস্যা অনেকেই ভুগে থাকেন, হতে পারে এটি খুশকি জনিত সমস্যার কারণেই হচ্ছে, আপনি জানলে খুশি হবেন এই সমস্যা থেকে হলুদ আপনাকে বাঁচাতে পারে । এতে থাকা এন্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ খুশকি কমাতে এবং মুক্ত করতে সহায়তা করে”। সপ্তাহে একবার, অর্ধ চা চামচ জৈবিক হলুদ গুঁড়ো চার টেবিল চামচ জৈব নারকেল তেলের সাথে মিশ্রিত করুন এবং শুকনো চুলের উপর প্রায় 30 মিনিটের জন্য রেখে দিন।তারপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন ।
হলুদের অপকারিতা
দিনে কতটুকু? হলুদ খাবেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৫০০-১০০০ হলুদ খেলে ভাল। তবে এক বারে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদই যথেষ্ট। সকালে ও রাতে দু’বেলা ২৫০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালিপেটে হলুদ খেতে পারেন। আবার রাতে ঘুমোনোর আগে হলুদ-দুধ খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন যেন বেশি না খেয়ে ফেলেন। তাতে ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ, পৃথিবীতে যা কিছু আছে মোটামুটি সব কিছুরই ভালো – খারাপ দুই দিকই আছে। হলুদ রক্ত পাতলা রাখে বলে গর্ভাবস্থায় খুব বেশি না খাওয়াই ভাল৷ যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে, তারাও বুঝেশুনে খাবেন। হলুদে ২ শতাংশ অক্সালেট আছে। যার প্রভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ব্যবহারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে পরিমিত ব্যবহারে আপনি যেমন অনেক উপভোগ উপকার পাবেন তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারের কিছু কুফল রয়েছে।
হলুদ ব্যবহারের অসুবিধাগুলি:
১।পেট খারাপ করতে পারে
২।হলুদ রক্তপাত এবং রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে
৩।হলুদ ব্যবহারে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা হতে পারে
৪।হলুদ কিডনি স্টোনসের ঝুঁকি বাড়ায়
হলুদ কীভাবে খাব? /হলুদের রস খাওয়ার নিয়ম:
কাঁচা হলুদের রস ৫ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়স অনুপাতে এক চা চামচ পর্যন্ত চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে লিভারের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদের রস সামান্য নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে কৃমি রোগ সারে। চিকিৎসক বলছেন, দুধ দিয়েই খেতে হবে হলুদ। কারণ হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে দুধ। পানি বা গুড়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেরে কারকিউমিনের অনেকটা শোষিত হয় না৷ এছাড়া গোলমরিচের সঙ্গে বেটে হলুদ খাওয়া যায়। কারণ, গোলমরিচে আছে পিপারিন। তা কারমিউমিনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২০০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷